করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের জন্য এলো সুসংবাদ। তাদেরকে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর বাইরে ওয়ালটন আরো সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি টাকা দিচ্ছে সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে।
এদিকে, এই আন্তর্জাতিক দুর্যোগের সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়ালটন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যার যার সাধ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে কর্মীদের এই টাকা দিয়েছে ওয়ালটন। বুধবার (২৫ মার্চ) ওয়ালটন গ্রুপে কর্মরতদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই অর্থ চলে গেছে। ওয়ালটনের শ্রমিক-কর্মকর্তা সবাই সমপরিমাণ অর্থ পেয়েছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে ওই টাকা পেয়ে মহাখুশী প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের কারণে অভাবী মানুষদের জন্য সামাজিক সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে ওয়ালটন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটাতে যারা হিমশিম খাচ্ছেন, এরকম ৪০ হাজার মানুষের খাবার সরবরাহে কাজ করছে ওই ফাউন্ডেশন।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড পাবলিকেশন) উদয় হাকিম জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার সেট এফডিএ এবং সিই সার্টিফাইড বিশ্বমানের পিপিই দিচ্ছে ওয়ালটন। যার মধ্যে রয়েছে প্রোটেকটিভ স্যুট, মেডিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস, স্যু কভার, সেফটি গগলস, হেড ক্যাপ এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালগুলোর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ যন্ত্র (ভেন্টিলেটর) সহ আরো বিপুল পরিমাণ পিপিই সরবরাহ করবে ওয়ালটন। প্রায় ২০ হাজার সেলস পয়েন্টের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র সচেতনতা এবং সেনিটাইজেশন কার্যক্রম চালাচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এছাড়া সংবাদকর্মীদের জন্য হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে।