নিজস্ব সংবাদদাতা: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে মার্ডারের জের ধরে গ্রামে অবস্থিত সন্তোষপুর আজিজিয়া হাফিজীয়া মাদ্রাসা ভাংচুর-লুটপাট ও মাদ্রাসাটি ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল ৩০ মার্চ সোমবার মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ শাহ আলম উত্তরা নিউজে অভিযোগ করে বলেন, মার্ডারের পক্ষের কয়েকজন লোক মাদ্রাসার দরজা ভেঙ্গে মাদ্রাসার ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং মাদ্রাসার ফ্রিজ, ফার্নিচার, ফ্যান, বোডিংসহ ছাত্রদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়টিকে আমি ইসলামীক ফাউন্ডেশন ও ওলামা পরিষদে বিচার দেওয়ার প্রস্তুতি নিলে পরে ওরা আবার এসব জিনিস ফিরিয়ে দিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, জিনিজপত্র ফিরিয়ে দিলেও এখন আবার মাদ্রাসায় ওরা টাকা দাবী করতেছে। টাকা না দিলে নাকি ওরা মাদ্রাসা ভেঙ্গে দিবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্ডার পক্ষের আঃ খালেক উত্তরা নিউজকে বলেন, মাদ্রাসার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে এটা সত্য। কিন্তু মাদ্রাসা প্রতি ক্ষোভ কিংবা লোভে কেউ ভাংচুর-লুটপাট এসব করেনি।
তিনি বলেন, আমাদের বিরোধীদলের লোকজন মাদ্রাসায় তাদের মালামাল নিয়ে রাখেন। যে কারণে আমাদের কিছু ছেলেরা আমাদের বিরোধী দলের লোকজনের প্রতি ক্ষোভ থেকে এখানে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা করে ফেলছে। ঘটনার সময় আমাদের মুরুব্বিরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। পরে আমরা যখন মাদ্রাসার ঘটনাটি জানতে পারছি তখন সকল মালামাল ফিরিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার কাজে দায়িত্ব লাখাই থানা পুলিশ সদস্য সোলাইমান বলেন, এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। আমাদের চোখে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা দেখতে পায়নি। কেউ আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত এমনধরণের কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে এমন ধরণের গর্হিত কাজের সাথে যদি কেউ সম্পৃক্ত থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য: লাখাইয়ের সন্তোষপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মনু মিয়ার সঙ্গে বর্তমান মেম্বার বাহার উদ্দিনের মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২২ শে মার্চ রবিবার দুপুর ১২ টায় দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মনু মেম্বারের দলের ১জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ১জন মারা যায়।