সুস্থ দেহের জন্য সকালের নাস্তার কোনো বিকল্প নেই। যারা ডায়েট করেন, ডাক্তাররা তাদেরকেও সকালে নাস্তা বন্ধ করতে মানা করেন। সকালের নাস্তার ওপর নির্ভর করে আপনার সারাদিন কতটা সতেজ কাটবে। এজন্য দরকার সকালে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। আপনার দিন সুন্দরভাবে শুরু করার জন্য প্রতিদিন বিরক্ত হয়ে একই খাবার খাওয়ার কোনো দরকার নেই। মাঝে মাঝে পরিবর্তন করুন। তবে চেষ্টা করুন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কিছু স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা সম্পর্কে যা আপনাকে দিনের শুরু থেকে শেষ অবধি সতেজ রাখবে।
অ্যাভোকাডো টোস্ট: একটি ব্রেড বেক করে টোস্ট করে নিন। তার ওপর অ্যাভোকাডো দিয়ে একটি ক্রিমি প্রলেপ তৈরি করুন। এরপর একটি ডিম পোচ করে ওপরে দিয়ে দিন। পরিবেশনের আগে ডিমের ওপর একটু গোলমরিচের গুঁড়া এবং টমেটো টুকরা ছড়িয়ে দিন। এই খাবারটি দেখতেও যেমন সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু একইসঙ্গে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের উৎস। তাই সকালের নাস্তায় মিষ্টি আলু নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। বড় মিষ্টি আলু মাঝখান থেকে কেটে তাতে লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে বেক করে নিন। বেক করা হয়ে গেলে একটু ঠান্ডা করে এর ওপর টক দই দিয়ে দিন। তার ওপর স্লাইস করে কাটা কলা দিয়ে দিন। দারুচিনির টুকরা (খুবই ছোট ছোট) ছড়িয়ে দিন ওপর থেকে। আপনি চাইলে একটু মধু ও দিতে পারেন তবে পরিমাণে অল্প।
দইয়ের পারফ্রেইট: দই নিঃসন্দেহে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দই রাখা উচিত সবার। কিন্তু কাজের চাপে সময় না পেলে বা সারাদিন বাইরের খাবারের ওপর নির্ভরশীল থাকলে সকালের নাস্তায় খেয়ে নিতে পারেন দইয়ের পারফ্রেইট। পারফ্রেইট মূলত ফল ও বাদামের মিশ্রণ। তাই আপনি এক কাপ দইয়ের সঙ্গে পছন্দের ফল মিশিয়ে নিতে পারেন। এর ওপর বাদামের কুচি দিতে পারেন। তারপর ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে বের করে রাখুন।
বুরিটো: বুরিটো খাবারটি আমাদের এখানে অনেকে শর্মা বললে ভালো বুঝবেন। এটা আপনার সকালের নাস্তার জন্য একটি ভালো খাবার হতে পারে। বাসাই হাতে বানানো রুটি, এর মাঝে সামান্য হাড়ছাড়া মুরগির মাংস (রান্না) এবং পছন্দমতো সবজি দিয়ে মুড়িয়ে খেতে পারেন। তবে বেশি ভালো হয় যদি আপনি মাংস না দিয়ে পুরোটা সবজি দিয়ে খান।
ওটমিল: সকালের নাস্তায় ওটমিলের কোনো বিকল্প হয় না। এটি সুগার ফ্রি। স্বাভাবিক মানুষ এবং সব ধরনের রোগের রোগীরা সকালের নাস্তায় ওটমিল খেতে পারেন। গরম দুধে ওটমিল মিশিয়ে আর কিছু ফলের টুকরা দিয়ে খেতে পারেন। অথবা ওটমিল দিয়েই বানাতে পারেন অন্য কোনো রেসিপি। ডায়াবেটিকস না থাকলে চিনি যোগ করতে পারেন।