আজহারুল ইসলাম সাদী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সন্ধ্যা নামতেই আলোর রোশনাই বিচ্ছুরিত হয়ে ওঠে খুলনা ক্লাব।
উৎসবের রঙে আলোকিত হয়ে যায় গোটা এলাকা। সানাইয়ের সুর আর বাদ্য বাজনায় উৎসবের আমেজকে বাড়িয়ে দেয় আরো শতগুণ।
খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে গতরাতে খুলনা ক্লাবেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। পাঁচশ বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যান সৌম্য সরকার।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন এ তারকা ক্রিকেটার। জাঁকজমকপুর্ণ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে রাত ১১টায় সৌম্য সরকারের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
কনে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার বাবা গোপাল দেবনাথ ঔষধ ব্যবসায়ী ও মা মাধবী দেবনাথ গৃহিণী। তাদের বাড়ি খুলনা শহরের টুটপাড়া এলাকায়। পূজা বর্তমানে ও লেভেল পড়ছেন ঢাকার একটি কলেজে। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বিয়েকে ঘিরে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল থেকে খুলনার মিডিয়াকর্মীরা সরব উপস্থিতি ছিল খুলনা ক্লাবে। ক্রিকেটারকে সামনে পেয়ে আগত অনেকের মধ্যে সেলফি তোলার ধুম পড়ে যায়।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চারটি প্রাইভেট কার, আটটি মাইক্রো বাস ও ছয়টি বাসের বিশাল বহরে পাঁচশ বরযাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরা হতে খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন সৌম্য সরকার।
রাত ৮টায় তিনি খুলনায় পৌঁছান।
২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টা হতে সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়ার লাল-সবুজ অঙ্কিক বেষ্টিত প্রাচিরের বাড়িতে ঢাক-ঢোল, কাশীর বাদ্য আর উলুধ্বনিতে পরিবার-পরিজনের উপস্থিতিতে গায়ে হলুদ হয়ে যায় সৌম্য সরকারের। এ সময় হলুদ মাখিয়ে সৌম্য সরকারকে আশির্বাদ করেন তার বাবা-মা, ভাই-ভাবীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীরা।
সৌম্য সরকার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ওপেনিং ক্রিকেটার। ১ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। ওই খেলায় তিনি ১৮ বলে চার বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান সংগ্রহ করেন,
আর জাতীয় দলে এই একটি খেলার কারিশমার সুবাদে সুযোগ যান বিশ্বকাপ একাদশে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে আরো চমক দেখিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বনে হয়ে যান তারকা ক্রিকেটার।
তিনি নামে যেমন শান্ত ভদ্র মাঝে মাঝে ক্রিকেটেও তেমন শান্ত ভাব দেখালেও তার দুর্দান্ত কারিশমায় জ্বলে ওঠেন চার ছক্কার ব্যটে।
বোলার হিসেবে ও দেখিয়ে যাচ্ছেন দারুণ চমক!
আর ফিল্ডিং এর কথা নাইবা বল্লাম সেটা দর্শকই ভালো জানেন…।