জুনে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। খেলার কথা ছিল দুইটি টেস্ট। কিন্তু করোনার ধাক্কায় সিরিজ স্থগিত। সিরিজ স্থগিত হওয়ায় ‘খুশি’ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
বিয়ষটিকে তিনি দেখছেন ইতিবাচক দৃষ্টিতে। তাঁর ভাবনা, সিরিজ যদি এক বছর বা ছয় মাস পর অনুষ্ঠিত হয় তাহলে দলে পাওয়া যাবে নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসানকে। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ শক্তি নিয়ে মাঠে নামা যাবে। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব এ বছরের ২৯ অক্টোবরের পর মাঠে ফিরতে পারবেন।
ফলে স্থগিত হওয়া সিরিজ চার পর অনুষ্ঠিত হলেই সাকিবকে পাওয়া যাবে। রাইজিংবিডি-র প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মুমিনুল বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত হওয়ায় আমি খুব একটা হতাশ নই। কারণ সিরিজ স্থগিত হওয়ায় আমরা পূর্ণাঙ্গ শক্তি নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছি। যদি সিরিজটি আগামী বছর অনুষ্ঠিত হয় নিশ্চিতভাবেই আমরা সাকিব ভাইকে পাবো।’
স্পিন অলরাউন্ডারকে দলে পাওয়া মানে বাড়তি শক্তি। মিডল অর্ডারে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান পাওয়ার পাশাপাশি বল হাতে সাকিব প্রধানতম অস্ত্র। বাড়তি একজন স্পিনার খেলানোর প্রয়োজনও হয় না। ফলে দল সাজানোর কঠিন কাজটাও সহজ হয়ে যায় অধিনায়কের জন্য। সবকিছু মিলিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে আশার আলো দেখছেন টেস্ট অধিনায়ক।
মুমিনুল বলেছেন, ‘সাকিব ভাইয়ের উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই আমাদের স্কোয়াডকে শক্তিশালী করবে এবং তাঁর না থাকা মানে, একজন বাড়তি বাঁহাতি স্পিনারের খোঁজ করা। এটা একদিক থেকে খুবই ভালো। আমি ঠিক নিশ্চিত নই কিভাবে বিসিবি কিংবা অস্ট্রেলিয়া বোর্ড এখন পরিকল্পনা করছে। শুনেছি এপ্রিলে সিরিজটি হতে পারে। যদি এপ্রিলে সিরিজ হয় তাহলে সাকিব ভাই পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন। অধিনায়ক হিসেবে আপনি সব সময়ই চাইবেন আপনার দলের সেরা ক্রিকেটার যেন অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলে।’
অস্ট্রেলিয়া দলের সূচি বরাবরই নির্দিষ্ট ছকে কাটা থাকে। ইংল্যান্ড ও ভারতের মতোই তাদের ব্যস্ততা। সিরিজ স্থগিত হওয়ায় সফর নিয়ে বড় একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আদৌ সিরিজটি হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস আশার আলো দেখিয়েছেন।
‘বাংলাদেশে আসন্ন সফর পেছানো দুঃখজনক। আমরা আমাদের ক্রিকেটার এবং জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় এনেছি। যা আমাদের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ পিছিয়ে দিতে বাধ্য করেছে। আমরা জানি, বিশ্ব ক্রিকেট সূচি খুব ব্যস্ত। কিন্তু আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা চেষ্টা করবো পুনরায় সিরিজটি আয়োজনের। নিজেদের কথা রক্ষা করবো। আর বিসিবির সঙ্গে এক হয়ে কাজ করবো, ভবিষ্যতের তারিখ নির্ধারণ করার জন্য।’ – বলেছেন কেভিন রবার্টস।