ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিপক্ষে তদন্ত শুরু করেছে উয়েফা। ১২ মার্চ চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করে অশালীন ভঙ্গি করেছিলেন রোনালদো। উয়েফার ওয়েবসাইট জানিয়েছে জুভেন্টাস ফরোয়ার্ডের শাস্তি কী হতে পারে, সেটা ২১ মার্চ তদন্ত শেষে জানানো হবে।
ঘটনার শুরু হয়েছিল প্রথম লেগে। জুভেন্টাসের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এর মধ্যে প্রথম গোলের পর নিজেদের দর্শকের দিকেই অশালীন ইঙ্গিত করে নিজেদের শৌর্যবীর্যের কথা জানিয়েছিলেন কোচ ডিয়েগো সিমিওনে। এ জন্য পরে ক্ষমা চাইলেও শাস্তি এড়াতে পারেননি। ২০ হাজার ইউরো জরিমানা দিতে হয়েছে তাঁকে। সিমিওনের উদ্যাপন যে অশালীন ছিল।
পরের লেগে হ্যাটট্রিক করে দল জিতিয়ে জবাব দিয়েছেন রোনালদো। সে সঙ্গে সেই একই ভঙ্গিতে উদ্যাপনও করেছেন। সে ঘটনাতেই এখন তদন্ত শুরু হয়েছে।
নিরপেক্ষ নীতি ও শৃঙ্খলা পরিদর্শকের তদন্তের পর উয়েফার শৃঙ্খলা নীতির ৫৫ ধারা ধারা অনুযায়ী কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। রোনালদোর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা নীতির ধারা ১১(২) (বি) ও ১১(২) (ডি) ভাঙার অভিযোগ করা হয়েছে।
আর্টিকেল ১১তে ফুটবল মাঠে আচরণবিধি আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে উপধারা ২(বি) তে অন্যকে অপমান করা হয় এমন আচরণ ও শালীনতার নীতি ভাঙে এমন আচরণের কথা আলোচনা করা হয়েছে। উপধারা ২(ডি) তে বলা হয়েছে, খেলা হিসেবে ফুটবল ও উয়েফাকে নিন্দিত করে এমন আচরণের শাস্তির কথা। এদিক থেকে রোনালদোর বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসী আচরণ যা ভদ্র আচরণের নীতিকে ভঙ্গ করা’ ও ‘ফুটবল ও উয়েফার মর্যাদাহানি’র অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
ইতালিয়ান সাংবাদিকদের দাবি, ধারা ১১তে অভিযোগ তোলায় যে শাস্তিই হোক, সেটা জরিমানাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। রোনালদো শাস্তি পেতে যাচ্ছেন এটা নিশ্চিত। তবে ভক্তরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারেন, সেই শাস্তি শুধু আর্থিক জরিমানাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পেতে হবে না রোনালদোকে।
রিয়ালে থাকার সময় শুধু বার্সেলোনা নয়, নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গেও রেষারেষির সম্পর্ক ছিল রোনালদোর। সিমিওনেকে পাল্টা জবাব দেওয়ার তাগিদ ভেতর থেকে অনুভব করেছিলেন হয়তো। প্রায় একই ধরনের ঘটনায় সিমিওনে ২০ হাজার ইউরো জরিমানা দিয়েছেন। রোনালদো হয়তো ভেবেছিলেন, টাকা যা লাগে দেব, ওই উদ্যাপনের পাল্টা জবাব দিতেই হবে!