রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ হঠাৎ করে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর বড় বাজারসহ সোনাপুর বাজার আশপাশের বাজার ও রাস্তাঘাট জনসমাগম ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বেড়েই চলেছে। এছাড়াও উপজেলার নোয়াগাও বাজার, পানিয়ালা বাজার, শ্রীরামপুর বাজার, ভাটরা বাজার, ভোলাকোট বাজার, চৌধুরী বাজামাঝিরগাঁও বাজার মাঝিরগাঁও বাজার,কাটাখালী বাজারসহ ছোট বড় অনেকগুলো বাজারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে অযথা মানুষ বাজারে চলাচল করছে, এতে কিছু মানুষ আতংতিক হয়ে পড়েছে। পারভেজ হোসাইন রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে জানান, সরকারি নির্দেশনায় পুরো দেশের ন্যায় লকডাউন ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলার সবকটি বাজার শহরের রামগঞ্জ বাজার ও সোনাপুর বাজারের অপ্রয়োজনীয় দোকান,শপিংমল, সাপ্তাহিক হাট বাজার বন্ধ করা হলেও কিন্তু এখনো বাজারে বা রাস্তায় হাটের মত লোক সমাগম হচ্ছে।
লোক সমাগম ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহানের নেতৃত্বে একটি মোবাইল টিম শহরের রামগঞ্জ উপজেলার সবকটি বাজার, এলাকা, শহরের বড় বাজার ও সোনাপুর বাজারসহ সড়কে জন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া সাধারণ মানুষকে সর্তক করা হয় ও রাস্তায় বের হতে নিষেধ করা হয়। এছাড়া একই সাথে ইজিবাইক-ইজিভ্যান ও নসিমন-করিমন, মটরসাইকেল চলাচল না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। বাইবে বের না হওয়ার জন্য নিষেধ করা হয় এবং আইন অমান্য করলে জরিমানাসহ শাস্তি প্রদান করা হবে বলে তাদের সর্তকও করা হয়।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে এই মহামারি করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশেও ১৭ জনের মতো মৃত্যু হয়েছে। আমরা থানা পুলিশ জেলা এসপি মহোদয় ও উপজেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছি এবং অপ্রয়োজনীয় দোকার না খোলা ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি। তিনি উপজেলা বাসীকে সচেতন থাকার বিনীত আহবান করেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের জনসচেতনতার বিকল্প নেই। রামগঞ্জ ব্যাপী বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। আর যারা কোয়ারেন্টাইন মানে নাই তাদের আইনের আওতায় এনেছি। আমরা মানুষদের সতর্ক করছি জনসমাগম এড়িয়ে চলতে।আর সরকারি ত্রান গরীবদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের মাঝেও বিতরণ করা হবে।
Post Views: ৩৩৭