ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর চিরচেনা ব্যস্ত চকবাজার পরিণত হয়েছে এক নিঃস্ব জনপদে। ইতোমধ্যেই ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৪৫ মরদেহ। এমন মৃত্যুতে চকবাজার তথা সারা দেশ এক মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন যেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মী সবুজ খানের ভাষ্য, চকবাজারের রাজমহল হোটেলের ওপর তলায় থাকত ফাতেমাদের পরিবার। ছোট্ট ফাতেমা আগুন লাগার পরেও তার মায়ের কোলে ছিল। তার মা আগুনের মধ্য দিয়েই দ্রুত নিচে নেমে আসেন। তবে নিচে নেমেও শেষরক্ষা হয়নি। কেননা তিনি কোনোভাবেই বের হতে পারছিলেন না। সন্তানকে জড়িয়ে ধরে তিনি সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এসব ঘটনার বয়ান শোনাতে শোনাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফায়ার সার্ভিস কর্মী সবুজ খান। সবুজ এ সময় একটি আক্ষেপেই করছিলেন, ‘আজকে যদি সবকিছুর বিনিময়ে মা আর শিশুকে বাঁচাতে পারতাম…’
চুড়িহাট্টা মসজিদের বাম গলিতে থাকতেন নাবিল। তিনি বাসায় ফিরছিলেন তরকারি কিনে। এরপরই বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি। তিনি বলেন, এমন শব্দ হচ্ছিল যেন কেয়ামত নেমে এসেছে।
চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের ১৫ ঘণ্টা পর আগুন নিভিয়ে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেন।