মোঃশাজাহান খানঃভোলার বোরহনউদ্দিন থানার পুলিশের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে পালিয়ে মানবেতর জীবন পর করছেন “জাতীয় সাংবাদিক নির্যতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন” -এর কেন্দ্রীয় নেতৃ নির্যতিত সাংবাদিকদের আস্হার প্রতীক ভোলার সাংবাদিক মিলি সিকদার।
খবর নিয়ে জানা গেছে আজ থেকে মাস ছয়েক আগে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানায় সাবেক ওসি শাহীন ফকির থাকা কালে একটি জ্বীন প্রতারক মামলা হয়। সেই মামলার বহু ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী করা হয় উক্ত থানার কচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের লোকজনকে। তখন কটিয়া ইউনিয়নের বিট অফিসারের দ্বায়ীত্বে ছিল এস আই সাদ্দাম হোসেন। এই জঘন্য প্রকৃতির সাদ্দাম হোসেন তার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ওসি শাহীন সাহেবকে না জানিয়ে কচিয়া ৬ নং ওয়ার্ডের মুনাব মিস্ত্রীর বাড়ীতে গভীর রাতে হানা দিয়ে তার ছেলে মাইনুদ্দিনকে মিথ্যা জ্বীন প্রতারক চক্রের সদস্য সাজিয়ে (রাত প্রায় ২:০০ টায়) গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।তাকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে তার পরিবার পরিজনের কাছে দাবী করে ৬০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয় টাকা না দিলে ক্রস ফায়ার করে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে। তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাচানোর জন্য তার পরিবার এই ৬০ হাজার টাকা দিতেই রাজী হয়।কিন্তু পুরো বিষয়টি মাইনুদ্দিনের স্ত্রী তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। পরবর্তীতে এস আই সাদ্দমের কুকর্মের ভিডিও চিত্রটি স্হানীয় সাংবাদিক মিলি সিকদারকে দেখা ভুক্তভোগীর স্ত্রী। এদিকে উক্ত সাংবাদিক এই ফুটেজের বিষয়টি থানার তদন্ত কর্মকর্তা মামুন সাহেব ও সেকেন্ড অফিসার মাহফুজ সাহেবকে অবগত করেন।তারা এই বিষয়টি জেনে এই ব্যাপারে বেশী বাড়াবাড়ি না করার জন্য সাংবাদিক মিলিকে হুমকী দেয়।শুধু তাই নয় তারা তাকে বলে বেশী বাড়লে দশ বারোটি থানায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশ ছাড়া করবে। তাদের এই হুমকীতে সে ভয় পেয়ে যায়।
এক দিয়ে যেমন সাংবাদিককে ভয়ঙ্কর হুমকী দেয় অন্য দিক দিয়ে কুচক্রী এস আই সাদ্দমকে শতর্ক করে দেয় পুলিশের অসৎ কর্তারা। এতে এস আই সাহেব মুখে মুখে বিষয়টি ভূলে যাওয়ার ভান করে বটে। কিন্তুু অন্তরে অন্তরে সাংবাদিক মিলি সিকদারকে হেনস্তা করার ষড়যন্ত্রে মরিয়া হয়ে উঠে পরে লাগে। এই বিষয়টি মিলি বেচারি না বুঝে সাদ্দামের সাথে বন্ধুর মত চলাফেরা করতে ঘাকে। কারন সাংবাদিকতা করতে হলে পুলিশের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতেই হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতেই হবে। মিলির বেলায়ও তেমনি হয়েছে। মিলির এই সরলতায় সাদ্দাম তাকে কয়েক বার কুপ্রস্তাপও দিয়েছে। এতে সফলতা না পেয়ে তার বিপদের ইঙ্গিতও দিয়ছে কিন্তু তাও বোকা সাংবাদিক কুচক্রীর বন্ধু বেশী শয়তান চনলো না।এতে যা হবার তাই হলো। একদা বন্ধুত্বের ছলনায় মিলির মোবাইল সেটটি দেখার জন্য তার হাত থেকে নিয়ে আছড়ে ভেঙ্গে ফেলে। তখন মিলি বুঝতে পারলো আসলে সাদ্দাম তার সাথে বন্ধুত্ব্ব করেনি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বন্ধুত্বের অভিনয় করেছে মাত্র। ডুস খেয়ে যখন তার হুশ হয় তখন আর শোধরাবার সময় ছিল না। হুশে এসে মিলি ওসি মনির হোসেন মিয়াকে এই ন্যাক্কারজনক বিষয়টি অবগত করতে গেলে তিনি এস আই সাদ্দামের পক্ষ নিয়ে সাফ বলে দিলেন থানায় এর কোনো মামলা বা অভিযোগ নেয়া হবে না। তার পরও যদি সে বাড়াবাড়ি বেশি করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্হা নেওয়া হবে। ওসির হেন পক্ষপাতীত্বে মিলি চুপসে যায় এবং ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যায়। এই সুযোগে থানা পুলিশ গোপনে কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়া ভূয়া বাদী ও ভূয়া স্বাক্ষী প্রমান রেডি করে মিলির বিরুদ্ধে দুটি ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা করে তার ওয়ারেন্ট বের করে আনে।
একটি মামলার বাদী হানিফ পিতা মেজাম্মেল হক সাং টগবী থানা বোরহানউদ্দিন। ডি/আর মামলা নং ৬৯/২৩ তাং ১০/০৮/২০২২ ইং। পরবর্তী মামলাটি করেছে কুতুবা গ্রামের শাহাজান সওদাগরের ছেলে সোহাগ সওদাগর সও আর মামলা নং ৪৫/২৩ তাং ২১/১০/২২ ইং। এই দুটি মামালার কারনে তার পেশাগত দ্বায়ীত্ব পালন বন্ধ হয়ে গেছে। সে বিভিন্ন জায়গায় আত্বগোপন করে এক দুর্বিষহ ও অনিশ্চয়তার জীবন যাপন করছে। তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্হিতিতে ভোলার সাধারন মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ ও পুলিশের উপর সৃস্টি হয়েছে চরম ঘৃনা। এই ঘটনাই প্রমান করে দিয়েছে যে পুলিশ কখনো জনতার বন্ধু হতে পারে না। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোলার সাধারন মানুষ ও মাটি। সবার মধ্যেই বিরাজ করছে হতাশা। বিঞ্জ জনের মধ্যে দেশের পুলিশ প্রশাসনের বিষয়ে এক বিরুপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে।তাই ভুক্তভোগী মিলি এই ষঢ়যন্ত্রমূলক মামলা ও ভূতুড়ে ওয়ারেন্টের ব্যাপারে পুনরায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযযথ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য জননিরাপত্তা সচিব, আইজিপি মহোদয়, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল, এসপি ভোলা, প্রেস কাউন্সিলের সম্মানীত চেয়ারম্যান এবং দেশের সকল মিডিয়ার প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
