আশিকুর রহমান:
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে গাজীপুরে দুই ব্যবসায়ীর গোডাউনে মিললো ৭১৬৮ লিটার সয়াবিন তেল, ৩ লাখ টাকা জরিমানা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বোর্ডবাজার এলাকায় দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করা ৭ হাজার ১৬৮ লিটার সোয়াবিন তেলের সন্ধান পান। পরে পূর্বের মূল্যে তাৎক্ষনিক সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে তেল বিক্রির এ সংবাদে দোকান দু’টির সামনে সাধারণ ক্রেতারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। অপরদিকে ধার্য্যমূল্যের অধিক মূল্যে তেল বিক্রি ও প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে প্রদাণ না করার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বোর্ডবাজারের মনির জেনারেল স্টোরকে ২ লাখ টাকা ও আরপি ট্রেডার্সকে ১ লাখ টাকার জরিমানা করেন। জিএমপি গাছা থানা পুলিশের সহায়তায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা অফিস প্রধান ও গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত আব্দুজ জব্বার মন্ডল।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুজ জব্বার মন্ডল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, অধিক মুনাফা লাভের জন্য বোর্ডবাজারের মনির জেনারেল স্টোর ও আরপি ট্রেডার্স কর্তৃপক্ষ গোপনে অবৈধভাবে সোয়াবিন তেল মজুদ করেছেন। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে দোকান দুটির গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। এসময় মনির জেনারেল স্টোরের গোডাউন থেকে বসুন্ধরা ও সান কোম্পানীর মোট ২ হাজার ৫৮ লিটার ও আরপি ট্রেডার্স থেকে ৫ হাজার ১১০ লিটার সোয়াবিন তেল মুজদ পাওয়া যায়। পরে এসব তেল পূর্বের মূল্যে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে মাইকিং করে তাৎক্ষনিক বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মনির জেনারেল স্টোরের গোডাউনে মজুদকৃত তেলের বোতলে আগের এমআরপিযুক্ত ল্যাবেল অনুযায়ী ১ লিটারের বোতল ১৬০ টাকা, ২ লিটারের বোতল ৩১৮ টাকা ও ৫ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা দরে বিক্রি করান। অপরদিকে আরপি ট্রেডার্সের দোকানে উপস্থিত থেকে প্রতি লিটার খোলা তেল আগের চালান অনুযায়ী ১৪৩ টাকা লিটার দরে বিক্রয় করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।