মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন : চলতি বর্ষা মৌসুমে রাজধানী উত্তরার প্রধানতম বেশ কয়েকটি সড়কে সুয়ারেজ লাইন বসানোর কাজ চলছে। মাটির গভীরে বেশ চওড়া এসব সিমেন্টের পাইপ বসাতে গিয়ে রাস্তা খুড়ে ফেলা হচ্ছে প্রায় ৮-৯ ফিট। বর্ষার সময় খোড়াখুড়ির কারণে নিত্যব্যবহার করা এসব রোড দিয়ে গাড়ী বা পায়ে হেটে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ রোড, ১২ নং সেক্টর খালপাড় রোড, নতুন সেক্টরের দিকে যেতে ৬/সি কবরস্থান রোড ব্যস্ততম শাহমুখদুম রোড, ১২ নং সেক্টরের ৩ নং রোডসহ কমবেশী প্রায় ১০-১২টি সড়কে পাইপ বসানো এবং ড্রেনের ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সুয়ারেজের এসব পাইপ বসাতে গিয়ে কয়েকমাস আগে পিচ ঢালাই দেয়া রাস্তা নতুন করে উপড়ে ফেলা হচ্ছে।
তাছাড়া বর্ষায় এসব খোড়াখুড়ির কারণে কাঁদা মাটিতে সয়লাব গোটা এলাকা। ঠিক বর্ষার মৌসুমে সুয়ারেজের এসব কাজে হাত দেওয়ায় সেক্টরের বাসিন্দারা বেশ নাজেহাল বলে জানিয়েছেন ১২ নং সেক্টর কল্যান সমিতির একজন নেতা। ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের সাবেক এ কর্মকর্তা প্রতিবেদককে বলেন, সুয়ারেজের কাজগুলো আগে আমরা গ্রীষ্ম কালীন সময়ে করতাম। তখনকার সময়ে একাজগুলো করতে অনেকটাই খরচ কম হতো। কিন্তু ইদানিং দেখছি এসব কাজ শুরু করা হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে। এতে কার লাভ হয় জানি না। তবে মানুষের কষ্টের সীমা নেই।
বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান প্রতিবেদকে বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ হলে কিছু জনভোগান্তি হয়, এটা আমাদের অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আমরা আমাদের প্রস্তাবিত মেয়াদের আগেই কাজ শেষ করতে পারবো। বর্ষায় কেন হয় এটা আসলে আমি বলতে পারবো না।
তবে আমার মনে হয়, বৈদেশিক অর্থায়নে চলা কাজগুলো মেয়াদ কালীন সময়েই শেষ করার একটা বাধ্যবাদকতা থাকে বলেই উন্নয়ন কাজগুলো নিদ্রিষ্ট সময়ে শেষ করতে হয়।
এ বিষয়ে উত্তরা ৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরিফুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, উন্নয়নমুলক কাজগুলো কেন বর্ষার মৌসুমে হয় তা ঠিক বলতে পারবো না।
তবে আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করবো একটু ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। তাছাড়া ড্রেন ও সুয়ারেজের এ কাজগুলো বিদেশী অর্থায়নে হয় বিধায় সময় মানার একটা ব্যপার হয়তো আছে। তারপরও আমরা উন্নয়নটা চাই।