করোনা পরিস্থিতিতে নাগরিকদের তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নির্ণয় ও সেবা দিতে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ তাঁর বাসভবন থেকে জুম পদ্ধতি অবলম্বনে সরাসরি এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্মগুলো হলো- লাইভ করোনা টেস্ট ডট কম, করোনা অ্যাকশন বট (ক্যাব), কল ফর ন্যাশন ডট কম, প্রবাসী হেলপ লাইন ডট কম, এমনমি আইসিটি ডিভিশন বিডি এবং স্টার্টাপ ডট গভ ডট বিডি। এর মাঝে স্টার্টাপ বাংলাদেশ ডট গভ ডট বিডি প্ল্যাটফর্মে ১৭টি ভিন্ন আলাদা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। স্টার্টাপ বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন প্রযুক্তি কর্মজীবী, প্রযুক্তি প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তাগণ এসব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে।
এসকল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি সহজেই করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নির্ণয় ও বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি প্রবাসীরা সংশ্লিষ্ট দেশের করোনা সম্পর্কে ঝুঁকি ও তথ্য জানতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মের সাথে যারা নিজেদের পণ্য, সেবা বা আইডিয়া নিয়ে যুক্ত হতে আগ্রহী তাদের জন্য আর্থিক পুরস্কারসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা রাখছে আইসিটি বিভাগ। এতে নিবন্ধনের সময়সীমা শুরু হচ্ছে ৩১ মার্চ থেকে। সফটওয়্যার জনিত উদ্ভাবনের জন্য আবেদন জমা দেওয়া যাবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ভিডিওসহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত আবেদন জমা দেওয়া যাবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৫ এপ্রিল বিচারক প্যানেল তাদের মতামত জানাবেন আর ১৭ এপ্রিল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
এসব পদক্ষেপ সম্পর্কে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এই দুর্যোগকালীন সময়ে অনেকেই অনেক ধরনের সমাধান নিয়ে আসছেন। আইসিটি বিভাগ থেকেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি আর এই যুদ্ধে আমাদের কাজ হচ্ছে ঘরে থাকা। এই ঘরে থাকার সময়ে জনগণের জন্য শিক্ষা, বিনোদন, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, তথ্য-সহ বিভিন্ন ধরনের সেবা আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।