করোনাভাইরাসের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। সোমবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তারা প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাত ঘুরে দাঁড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এই প্রণোদনা প্রদানের উদ্দেশ্য যেন কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, হয়রানি ও দুর্নীতির কারণে ব্যাহত না হয় সে জন্য সরকার ও প্রশাসনকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
তারা আরও বলেন, কৃষক ও খামারিরা তাদের উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন। কৃষি, পোল্ট্রি, মৎস্য, প্রাণীসম্পদসহ অকৃষি খাত যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকারকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। কৃষকের উৎপাদিত ফসল, খামারিদের উৎপাদিত খাদ্যপণ্য বিপণনে যেন কোনো সংকট না হয় সে জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। বোরো ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও ব্যবস্থাপনা এখনই প্রস্তুত রাখতে হবে।
জাসদের এই দুই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী সামাজিক নিরাপত্তা আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও এ খাতে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেননি। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় প্রবাসী রেমিট্যান্স প্রেরণকারীরা চাকরি হারালে তাদের এবং দেশে তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও বিনা সুদে ঋণ দেয়ার জন্য আর্থিক বরাদ্দ প্রস্তুতি রাখতে হবে।
শহর-গ্রামের প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সব খাতের শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় আনতে হবে। নিরুপায়-অসহায় খাদ্য সাহায্য প্রার্থীদের খাদ্য সহায়তা ও নগদ আয় সহায়তা প্রদান করতে হবে। নিম্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত জনগণের জন্য বিনা সুদে ব্যক্তিগত ঋণের ব্যবস্থা চলু করতে হবে।
জাসদ বিবৃতিতে বলেন, সর্বোপরি যে কোনো মূল্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে লকডাউন, আইসোলেশন, হোম কোয়ারেন্টাইন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন, উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদানের জন্য টেস্ট কিট, মেশিনপত্র, আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর, পিপিই, মাস্ক সংগ্রহ করার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। সাধারণ অসুস্থ মানুষদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা চালু রাখতে হবে।
জাসদের এই দুই নেতা বলেন, করোনা মোকাবিলার যুদ্ধে প্রথম কাতারের যোদ্ধা চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী-স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে যুক্ত সব পেশাজীবী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ঝুঁকি ভাতা ও প্রণোদনা প্রদানের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
সূত্র: জাগো নিউজ