নির্বাচনের দিন অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নির্দেশকে রক্তক্ষয়ী পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনে প্রীতম-জামান টাওয়ারের সামনে একটি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দায় আফ্রিক। সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন প্রফেসর নুরুল আমীন বেপারী, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
জগলুল হায়দায় আফ্রিক বলেন, নির্বাচনের দিন অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনৈক কর্মকর্তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ প্রমাণ করে সেদিন রক্তক্ষয়ী পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা অথবা জনমনে ভীতি সঞ্চার করার জন্য এসব বলা হচ্ছে। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী-নেতাকর্মী-সমর্থকরা মোটেও ভীত নন। ভোটাররাও ভয় পাবেন না। বরং তারা সবকিছুকে তুচ্ছ প্রমাণ করে ৩০ ডিসেম্বর ভোট বিপ্লব ঘটানোর মিছিলে শামিল হয়ে কাঙ্ক্ষিত বিজয়ে অবদান রাখবেন বলে ঐক্যফ্রন্ট দৃঢ় বিশ্বাস।
দেশের সব ভোটাদের আবেদন জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দ্বিধাহীন চিত্তে আপনার মূল্যবান ভোট প্রয়োগ করে দেশের স্বাধীনতা এবং আপনাদের মালিকানা নিশ্চিত করবেন। দেশবাসীর প্রতি এটাই প্রত্যাশা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অভিযোগ করে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী, নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মাঠে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। ঐক্যফ্রন্টকে প্রচারণায় নানাভাবে বাধা দেওয়া ও গণগ্রেফতারের বিষয়টি আজ সবার জানা। তারপরও ভোটাররা কিন্তু থেমে নেই। রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাট প্রায় খালি হয়ে গেছে। সবাই নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছেন ভোট উৎসবে অংশ নিতে।