করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নিম্নবিত্তের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে সরকার তাদের জন্য কেজি প্রতি ১০ টাকা হারে চাল বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
‘রাস্তায় মানুষ পুলিশের হয়রানি শিকার হচ্ছে’-সাধারণ মানুষের এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত দেশ লকডাউন করা হয়নি। তবে অহেতুক চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তায় প্রয়োজনে কেউ যেতেই পারেন। গেলে তাকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হবে তা দুঃখজনক। এটার জন্য পুলিশকে বলা হয়নি।’
মানুষ প্রয়োজেন রাস্তায় বের হতে পারবে, তবে অপ্রয়োজেন ঘোরাফেরা করলে তাদের বুঝিয়ে ঘরে পাটাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার মুক্তিকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নেতা-কর্মীদের জমায়েতকে দলটির দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সমস্ত মানুষ যখন ঘরের মধ্যে অবস্থান করছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে; তখন খালেদা জিয়ার মুক্তিলাভের পর হাজার হাজার লোকের জমায়েত করেছে। যেখানে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। তখন বিএনপির জমায়েত দায়িত্বহীনতার পরিচয় ছাড়া আর কিছু নয়।’
করোনাভাইরাসের এই সংকটে কোনো রাজনৈতিক বিভেদ চান না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনসিহসহ রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা প্রতিরোধ করবো।’
এ সময় তিনি স্বাস্থ্য খাতে গবেষণায় আরো ব্যয় বাড়াতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটি জীবানুর কাছে মানুষ কত অসহায়। প্রায় এক তৃতীয়ংশ মানুষ আজকে লকডাউন। সব থমকে গেছে। আমরা একটা জীবুনুকে পরাস্থ করতে পারিনি। অথচ আজকে দেখতে পাচ্ছি, বিশ্বে স্বাস্থ্য খাতের গবেষণায় সরকারি পর্যায়ে মোট বাৎসরিক ব্যয় ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা কয়েকটি যুদ্ধবিমানের মূল্যের সমান মাত্র। অথচ অপরের সাথে যুদ্ধ করার জন্য কতো খরচ করছি’।
‘আজকে মানব জাতির ভাবার সময় এসেছে আমরা একে অন্যের সাথে যুদ্ধ করার জন্য ব্যয় বাড়াবো, না কি স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ব্যয় বাড়াবো, গবেষণা বাড়াবো, এ নিয়ে বিশ্ববাসীকে ভাবতে হবে।’