নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : ৫ বছরের শিশু সোয়াইব হোসেন হত্যা মামলার দীর্ঘ ৭ বছর
৯ ও ২৫ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করা হলেও তারিখ পিছিয়ে ৩০ নভেম্বর শিশু সোয়াইব হত্যার রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলেরগাঁও এলাকার স্থানীয় শান্তিনগর দারুন নাজাত নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেনীর ছাত্র সোয়াইব হোসেন নিখোঁজ হন। এ ঘটনার ৬ দিন পর একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে গলাকাটা লাশ, ঝলসে দেওয়া সোয়াইব হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোয়াইবের বাবা মাসুম মিয়া তার ছেলেকে অপহরণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোশরফ হোসেন, রাজু মিয়া, ফজল হক, জসিম উদ্দিন, শিরসতালী, নাছির উদ্দিন, আলী আহাম্মদ ও রিনা বেগমসহ ১৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তখন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মোশারফ হোসেন, রাজু মিয়া, নাছির উদ্দিন, ফজল মিয়া, সিরাসতালী ও আলী আহাম্মদসহ আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে ছিল।
ওই সময় আসামীরা নারায়ণগঞ্জে জৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম চাদনী রুপমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে আসামীরা জানায়, নারী ঘটিত একটি কারণে শিশু সোয়াইব হোসেনকে অপহরণের পর শিশুটিকে প্রথমে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে পরে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কাটা হয় এবং এসিড দিয়ে পুরো শরীর ঝলছে দেয়া হয়। দীর্ঘ ৭ বছর পর ৫ বছরের শিশু সোয়াইব হোসেনকে নির্মম হত্যার বিচারের রায়ে বাদী মাসুম অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন এ মামলার রায়ে আদালত যাদের খালাস দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ আপিল করবেন এবং যাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তাদের রায় বহাল রাখতে চেষ্টা করবেন।
মামলার বাদী নামজুল হোসেন মাসুম বলেন, যারা সাজা পেয়েছে আর যারা খালাস পেয়েছে তারা সবাই আমার সন্তানকে নির্মমভাবে খুন করেছে