নিউজ ডেস্ক: নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও দেশের অভ্যন্তরে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন নরসিংদী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন।উপস্থিত কমিটির সকলের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী নরসিংদী জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক ব্যতিত জেলা ও উপজেলার অন্য সকল রাস্তা ও সীমানা দিয়ে ভিন্ন জেলায় যাতায়াতে প্রবেশ ও প্রস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসময় সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণজমায়েত, গণপরিবহন, দিনরাতে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে জরুরি সেবা, খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ ও চিকিৎসা আওতাবর্হিভুত থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে, নরসিংদীর ১’শ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের এক মালী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাড়ি রায়পুরা উপজেলার ডৌকার চর গ্রামে।
এ নিয়ে নরসিংদী জেলায় ৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।বুধবার (৮ এপ্রিল) নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সিভিল সার্জন জানান, করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ার পর দুইদিন আগে তার নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ পাঠানো হয়। সেখান থেকে আজ বুধবার দুপুরে তার করোনা পজেটিভ বলে জানানো হয়।
জেলা হাসপাতালে কর্মরত ওই মালি প্রতিদিন রায়পুরার ডৌকার চরের নিজ বাড়ি থেকে হাসপাতালে এসে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এখন তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। আর তার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের কোয়ারেন্টিনে রেখে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হবে।
এদিকে ডৌকার চর গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।এ নিয়ে নরসিংদী জেলায় ৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে নরসিংদী সদরে ১ জন (বর্তমানে সুস্থ), পলাশ উপজেলায় ১ জন, রায়পুরা উপজেলায় ২ জন।
Post Views: ৩৩৩