পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তীপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম ও বানু বেগম দম্পতির একটি ছেলে সন্তান হয়।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুটির শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সন্ধ্যায় শিশুটিকে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাতে শিশুটির ফটোথেরাপী দেয়া হয়। এই ফটোথেরাপী মেশিনটি একটি নির্দিষ্ট সময় পর খুলে দিতে হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও না খোলায় শিশুটির শরীর পুড়ে যেতে শুরু করে। শরীরের একাংশ কালো হতে থাকে।
এই অবস্থা দেখে শিশুর বাবা জহুরুল ইসলাম, নানী রওশন আরাসহ অন্য রোগীদের অভিভাবকরা কর্তব্যরত নার্সদের ডাকাডাকি করতে থাকে। কিন্তু নার্সরা তাদের ডিউটি কক্ষে ঘুমাতে থাকে। অনেক ডাকাডাকি করার পর সাড়া দিয়ে ভেতর থেকে বলে সকাল ছয়টার আগে তারা আসবে না। অবশেষে ফুটফুটে এই ছেলে সন্তানটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এ সময় ওই ওয়ার্ডে রোজিনা ও তানিয়া নামের সিনিয়র স্টাফ নার্স দায়িত্বরত ছিলেন বলে জানা গেছে। এই অবস্থা দেখে হাসপাতালে চিকিৎসারত অন্য রোগীদের স্বজনরাও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মুনির আলী আকন্দকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি ব্যাপারটি দেখছেন বলে জানান।
এদিকে ওই নবজাতকের বাবা নওগাঁ সদর মডেল হাসপাতালে একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।