স্টার বাংলা ডেস্কঃ
বাড়তি দামে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারাগত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস অবস্থা চলছে। এমন অবস্থার ব্যতিক্রম ছিল না শনিবার ১৬ ই মার্চ । এদিন সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস- সব রকম নিত্যপণ্য বিক্রি হয়েছে চড়া দামে। বেড়েছে একাধিক সবজির দাম। নতুন করে না বাড়লেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি।এ ছাড়া বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছ বিক্রি হয়েছে উচ্চমূল্যে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। আর গরুর মাংস, চাল, ডালসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম। দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দোহাজারী বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।বাজারের সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন সবজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি। বাজারভেদে পটোল বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। করলা ৮০-৯০ টাকা কেজি। ঢেঁড়স বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৭০ টাকায়।কচুর লতি বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা কেজি, যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকা। শিম বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল হয় ২০-৩০ টাকা কেজি। মুলা বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৩০-৩৫ টাকায়। পাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।এদিন প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয় ৭০-৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫০-৬০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায় যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। ধুন্দুল বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫০-৬০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের মতোই আলু বিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকা কেজি।এ ছাড়া, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা কেজি।দোহাজারী বাজারের সবজি বিক্রেতা মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারে শীতের সবজি কমতে শুরু করেছে, আসছে গ্রীষ্মকালীন নতুন সবজি। তাই চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। এ জন্য দাম একটু বাড়তি। তবে কিছুদিন আগে বৃষ্টিতে গ্রামাঞ্চলে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। কৃষক পর্যায় থেকেও সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ মিলছে না। তবে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমতে শুরু করবে।এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। শুক্রবার বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০-২২০ টাকা কেজি। আর পাকিস্তানি মুরগির কেজি ২৬০-২৮০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫০০-৫২০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি।অন্যদিকে বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়েছে সব ধরনের মাছ। প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা। পাঙাশ বিক্রি হয় ১৬০-১৮০ টাকা কেজি, রুই আকারভেদে ৩৫০-৬০০ টাকা কেজি, পাবদা ৬০০-৭০০ টাকা কেজি।এ ছাড়া টেংরা মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি। শিং মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০-৫৫০ টাকা কেজি। বোয়াল মাছ বিক্রি হয়েছে ৫০০-৮০০ টাকা কেজি। আর চিতল মাছ বিক্রি হয়েছে ৫০০-৮০০ টাকা কেজি।দোহাজারী বাজারে কথা হয় নবী হোটেলের স্বত্বাধিকারী মো. আবদুর রশীদ সাংবাদিককে জানান , বাজারে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। যে টাকা নিয়ে বাজারে এসেছি তা দিয়ে চাহিদামতো নিত্যপণ্য কিনতে পারছি না। সবকিছু কম করে কিনলেও হচ্ছে না। বাজারে সবজিতে যেন হাত দেয়া যাচ্ছে না। আর মাংসের দাম তো আকাশছোঁয়া। এ ছাড়া মাছের দামও বেশ চড়া।তিনি আরও বলেন, এভাবে যদি নিত্যপণ্যের দাম বাড়তেই থাকে তাহলে ব্যবসা পরিচালনা ও পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করতে হিমশিম খেতে হবে।