প্রতিনিধি, টঙ্গী (গাজীপুর) :
টঙ্গীর শিলমুন এলাকার একটি বাড়িতে সাথি আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবীতে শ^শুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ আসামীরা পলাতক রয়েছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে স্বামীসহ, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভাশুরের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত এক বছর আগে যশোরের মেয়ে সাথি আক্তার ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন গাজীপুরের টঙ্গীর সারওয়ার হোসেন বাবুকে। বিয়ের দুই মাস অতিবাহিত হতে না হতেই সংসারে দেখা দেয় অশান্তি। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন সাথিকে। প্রায়ই তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। সে রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় মামার বাসায় থেকে টঙ্গীর শিলমুন এলাকার সারওয়ার হোসেন বাবু নামের এক ছেলের সঙ্গে প্রেম হয়। কিন্তু বছরখানেক আগে সাথী তাদের (বাবা-মা) অমতে বিয়ে করে স্বামীর সাথে টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। এর মধ্যে স্বামী তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবী করলে ২ লাখ টাকা জামাতাকে দেয়। বাকি ৩ লাখ টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে বাকি ৩ লাখ টাকা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সে টাকা দিতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পরের দিন শুক্রবার সকালে টঙ্গীর পূর্ব থানা পুলিশ তার লাশ করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের পিতা বাবলু রহমান দাবি করেন, যৌতুকের টাকার জন্য তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই। নিহত সাথী আক্তার যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার বাবলু রহমানের মেয়ে।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শুভ ম-ল জানান, শিলমুন এলাকার স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাথির লাশ উদ্ধার করে। তাঁর গলায় কালো দাগ ছিল ও খালি ঘরে সাথির লাশ খাটে শোয়ানো অবস্থায় ছিল। ঘটনার পর থেকেই সাথির স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন পলাতক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা ধারণা করা হচ্ছে।