আজ সকালে নাজিম উদ্দিন রোডের বিশেষ কারাগারে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বেগম খালেদা জিয়াকে জেল কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞেস করে, তিনি কী খাবেন? বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ সরকারী ছুটির দিন। এ উপলক্ষে কারাগারে উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া কী খেতে চান তা জানতে চাওয়া হয়।
বেগম জিয়ার মনেই ছিলো না যে আজ জাতির পিতার জন্মদিন। তিনি বলেন, ‘কী উপলক্ষে?’ তখন তাকে বলা হয়, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। তখন বেগম খালেদা জিয়া একটু ম্লান হাসেন। তিনি বলেন, ‘উনি (বঙ্গবন্ধু) আমাকে পছন্দ করতেন। আমাকে খুব আদর করতেন। আমাকে একটা শাড়িও দিয়েছিলেন।’ এটুকু বলেই তিনি অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন।
এরপর যখন তাকে আবারও জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আপনি কী খাবেন?’ তখন তিনি বলেন, ‘ভালো-মন্দ একটা কিছু হলেই হলো। আমার কোন পছন্দ নেই।’
কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর বেগম খালেদা জিয়াই বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। তাদের কূটনৈতিক চাকরিতে পদোন্নতি দিয়েছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি ১৫ আগস্ট নিজের মিথ্যা জন্মদিনের নামে কেক কাটার উৎসব করেছেন। এজন্য তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন।
সাধারণত বলা হয় যে, কারাগারে গেলে মানুষের আত্মোপলব্ধি হয়। আজ কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার আত্মোপলব্ধি হলো যে, বঙ্গবন্ধু তাকে ভালবাসতেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর