করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৯ মার্চ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এদিকে সরকার আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এতে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে এরপর যদি আর ছুটি না বাড়ে তাহলে ছুটির পরপরই বদলি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।
মহাপরিচালক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ভাইরাসের সমস্যাটা না থাকলে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আমরা বদলি শুরু করতে পারতাম। শিক্ষকদের আশ্বস্ত করতে চাই, ছুটির পরপরই শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু করব। এখন সবার চাওয়া, যেন দ্রুত এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারি।’
মো. ফসিউল্লাহ আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষকদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। বদলি কার্যক্রম শুরু হলে নির্দেশনা জারি করা হবে। আগে শিক্ষক বদলি নিয়ে অনেক অভিযোগের কথা শুনেছি। শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ করবো, তারা যেন প্রতারণার শিকার না হন। বদলি কার্যক্রমে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। আশা করছি, ছুটি না বাড়লে অনলাইনের মাধ্যমে এপ্রিলের মধ্যেই বদলি কার্যক্রম চূড়ান্ত হবে।’
এর আগে শিক্ষক বদলি কার্যক্রমে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরুর কথা বলেন। যদিও এখনো তা শুরু করা যায়নি।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নীতিমালা অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শিক্ষক বদলি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও যথা সময়ে সহকারী শিক্ষকদের বদলি আবেদন জমা নেওয়া হলেও বর্তমান করোনাভাইরাসের কারণে সকল বদলি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ডিপিই। এ কারণে বদলিপ্রত্যাশী আবেদনকারী শিক্ষকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।