মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন বলেছেন, এটা গণতন্ত্রের ওপর ‘নজিরবিহীন হামলা’। এসময় তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের কর্মর্কাণ্ড ‘রাষ্ট্রদ্রোহের কাছাকাছি’।
ডেলাওয়ারের উইলমিংটন থেকে দেয়া এক ভাষণে বাইডেন বলেন, গণতন্ত্রের ওপর ‘নজিরবিহীন হামলা’ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনুরোধ করছি যে তিনি এখন জাতীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে তার শপথ পূর্ণ করুন এবং সংবিধান রক্ষা করুন এবং এই অবরোধের অবসান ঘটান।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বাইডেন এই ঘটনাকে বিক্ষোভ নয়, বরং সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবেও অভিহিত করেছেন। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার পর কাঁদানে গ্যাস ও বন্দুকের গুলি ছোড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বুধবার বাইডেনের নির্বাচনী জয়কে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে কংগ্রেসে যৌথ অধিবেশন চলাকালে ক্যাপিটল হিলে ঢুকে যায় ট্রাম্প সমর্থকরা। এসময় তারা ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। পরে একজন নারীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই হামলার পর পার্লামেন্টের অধিবেশন কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়। এমনকি ওয়াশিংটনে ১২ ঘণ্টার কারফিউও জারি করা হয়। তাণ্ডবের পর অধিবেশন শুরু হলে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলের ইতিহাসে একটি কালোদিন’ এটি।
ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব শুরু হলে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘এগিয়ে আসতে’ এবং এই সহিংসতার নিন্দা জানাতে আহ্বান জানায় ডেমোক্রেটরা। তবে অন্তত দুই ঘণ্টা তাণ্ডব চলার পর সমর্থকদের ‘ঘরে ফিরে যেতে’ আহ্বান জানান ট্রাম্প।
এর আগে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে ক্যাপিটল হিলে ঢুকে যায়। এসময় তারা ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নাড়াতে এবং চিৎকার করতে থাকে। তারা চিৎকার করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি জানাতে থাকে।
এদিকে মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ক্যাপিটল হিলে গোলমালের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার একজন বেসামরিক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুটি সন্দেহভাজন বিস্ফোরক ডিভাইস পাওয়া গেছে বলেও জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলেও জানায় তারা।