বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন- এমন খবরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল ও খালেদা জিয়ার বাসার সামনে ভিড় না করার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দেশে এখন সংকটকাল চলছে। সবার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই অবস্থায় আমরা যদি হাসপাতাল এবং চেয়ারপারসনের বাসার সামনে ভিড় করি, তাহেল ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই সবার কথা চিন্তা করে আমাদেরকে একটু শান্ত থাকতে হবে।’
এর আগে গুলশান কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উদ্বেগের মধ্যে কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির খবর দেশবাসীর জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি আইনমন্ত্রী একটা প্রেস ব্রিফিং করে বলেছেন, বয়সের কারণে খালেদা জিয়াকে ৪০১ ধারায় ৬ মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর সেটা শর্তসাপেক্ষে। শর্ত হচ্ছে তাকে বাসায় থাকতে হবে এবং দেশে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এটুকুই আমরা এখন পর্যন্ত জানি।’
‘এখন স্থায়ী কমিটির নেতারা বৈঠক করবেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে যুক্ত হবেন এবং তার পরিবারের সাথে কথা বলে আমরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করব’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক ভাবছেন কি না?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে এ সিদ্ধান্তকে আমাদের ভালো করে দেখতে হবে। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে তারপর বলতে পারব।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসবে কি-না?— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে এটার কোনো কারণ দেখছি না। জাতীয় ঐক্যের জন্য আমরা বরাবর বলে আসছি। কিন্তু সরকার কোনো সাড়া দেয়নি। শর্তসাপেক্ষে মুক্তির বিষয়টা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, সেটা আমরা আলোচনা সাপেক্ষে জানতে পারব।’
সূত্র: জাগো নিউজ