নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলো আফগানিস্তান। সিরিজের একমাত্র টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টেই জয় তুলে নিলো আফগানরা। এ টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই ৫ উইকেট পেলেন রশিদ খান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন আফগানিস্তানের রহমত শাহ।
এখন আর শুধু টেস্ট খেলুড়ে দল নয়। টেস্ট জয়ের তালিকায়ও নাম তুলে ফেলেছে আফগানিস্তান। কে বলবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি যারা কিনা ২০১৭ সালে আইসিসির কাছ থেকে টেস্ট স্ট্যাটাস পায়, তারা এবার নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টে বিজয়ের ইতিহাস করলো।
এর আগে দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের দেয়া মাত্র ১৪৭ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। আগের দিন ওপেনার শাহজাদকে হারালেও, এদিন ইহসানুল্লাহ আর রহমত শাহ-এর ব্যাটে চড়ে জয়ের দিকে এগুতে থাকে আফগানরা। ৭৬ রান তুলে দলীয় ১৪৪ রানে সাজঘরে ফেরেন রহমত শাহ। নবী, শাহিদিরা দ্রুত আউট হলেও, ইহসানুল্লাহর ৬৫ রানে চড়ে জয়ের বন্দরে পৌছায় আফগানিস্তান। ৭ উইকেটে হারায় আইরিশদের। সেই সাথে রচনা করে প্রথম টেস্ট জয়ের ইতিহাস।
টেস্টে প্রথম জয়ের স্বাদ এত তাড়াতাড়ি পাওয়া দলের মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া,ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের নামও। অজিরা ১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলে আর সে টেস্টেই জয় তুলে নেয়। অন্যদিকে, একই সিরিজে দ্বিতীয় টেস্টে জয় পায় ইংল্যান্ড। এই সিরিজ দিয়ে টেস্টে অভিষেক হয় ইংলিশদেরও। আর ১৯৫২ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হওয়া পাকিস্তান প্রথম জয় আসে এই সিরিজেই দ্বিতীয় টেস্টে।
দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অভিষেক হয় ১৮৮৯ সালে। ১৭ বছর পর ১২ ম্যাচ খেলে ১৯০৬ সালে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় প্রোটিয়ারা। এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট খেলার ২ বছর পর টেস্টে জয় তুলে নেয় ইংলিশদের বিপক্ষে ১৯৩০ সালে। সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলে জয়ের দেখা পায় নিউজিল্যান্ড। ১৯৩০ সালে টেস্টে অভিষেকের ৪৫ ম্যাচ পর ১৯৫৬তে যেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায় কিউইরা। এছাড়া ভারত টেস্টে প্রথম জয় পায় ১৯৫২ সালে। যেখানে তাদের অভিষেক হয় ১৯৩২ সালে। আর বাংলাদেশের টেস্টে অভিষেকের ৫ বছর পর তারা প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।