প্রথমে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই তাদের প্রতি যারা বৈশিক মহামারিরতে দেশের খারাপ সময়ে দেশের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন এবং যারা দুস্থদের মাঝে ত্রাণ দিচ্ছেন সহযোগিতা করছেন। মনে মগজে আপনাদের মনুষ্যত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এতে।
বর্তমান সময়ের হোম কোয়ারেন্টাইন চলছে সারাদেশে, কতটুকু মানা হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টাইন সেটা হয়তোবা আমাদের সবারই জানা। সারাদেশে মিডিয়ার কল্যাণে অনেক কিছুই সহজে সবার নজরে আসছে মূহুর্তে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের আরো বেশি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া খুব জরুরী। বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে নিশ্চিত হয় হোম কোয়ারেন্টাইন, তবে আমাদের নিজ দায়িত্বে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে আমাদের দেশে দিন দিন প্রভাবিত হচ্ছে। যতদূর জানা যায়, পর্যায়ক্রমে উর্ধমুখী হচ্ছে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব। বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে ও সুস্থ হয়েছে ৩৩ জন।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে করোনা বিস্তারের এমন পরিস্থিতিতে আমরা কি আজও অসচেতন নাগরিক? সচেতনত হতে পারিনি অনেকেই, অসচেতনভাবে লিপলেট ও ত্রাণ বিতরণ করছি আজও! আমাদের আরো অনেক সচেতন হতে হবে। আমরা কি পারিনা সচেতনতামূলক লিফলেটে ও ত্রাণ গুলি নিজ উদ্যোগে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে, যেটা সচেতনতার একটা বড় অংশ হতে পারে? নাকি জনসমাগম ঘটিয়ে ক্যামেরার বাটন চাপাই আমাদের লক্ষ্য?
বর্তমান সময়ে ত্রাণ বিতরণ সবচেয়ে বড়ো মহৎউদ্যোগ তবে ত্রাণ বিতরন যদি কারোর জীবন বিপন্নের কারন হয় সেখান থেকে করোনায় কেউ আক্রান্ত হন তাহলে আমরা ত্রাণ বিতরনের উদ্দেশ্য আসলে কতটুকু সফল হল প্রশ্ন বিবেকবান সুশীল ও ত্রাণ বিতরণ কারী মহতউদ্যোগীদের কাছে? আসলে আমাদের দেশের পরিস্থিতি কতোটুকু খারাপ হলে আমরা সচেতন হবো? যখন আমাকে আপনাকে গ্রাস করবে করানোর প্রভাব তখন আমার আপনার আর সচেতন হওয়ার সুযোগ হয়তো থাকবে না।
বর্তমানে আমদের দেশে সিলেটের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (উপসচিব) জালাল সাইফুর রহমান আজ সকাল ৭:৩০টায় ইন্তেকাল করেন। তিনিও Covid 19 রোগে আক্রান্ত হয়ে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আশা করি এর পর আর বলার বাকি রাখেনা আমাদের কতটুকু সচেতন হতে হবে বা সচেতন হওয়া প্রয়োজন বর্তমান পরিস্থিতিতে। ত্রাণ বিতরণের ধরন পাল্টানোর জন্য সকলের কাছে বিশেষ অনুরোধ জনসমাগম তৈরি করে ত্রান বিতরন না করে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন। দেশের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে সেই বিষয়টি বিবেচনা করে দেশের স্বার্থে ত্রান বিতরনের সিস্টেম নিজ নিজ দায়িত্বে বদলে দিন। বন্ধ হউক জনসমাগম বদলে দিন করোনার পরিস্থিতি।