নিজস্ব প্রতিবেদক :
গতকাল রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। সকাল ৯টার পরই শুরু হয় মোনাজাত,শেষ হয় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে। এবারের মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জুবায়ের। মোনাজাতে দেশ ও বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
মহান আল্লাহ’র নৈকট্য লাভের আশায়, ভোর থেকেই ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে ময়দানে জড়ো হয়েছেন ধর্মপ্রাণ লাখো মুসল্লি। কেউ পায়ে হেটে; কেউ গণপরিবহনে, কেউবা ট্রেনে চেপে এসেছেন টঙ্গীর তুরাগ তীরে।ভোরে ফজরের নামাজের পর থেকেই চলে হেদায়াতি বয়ান। আখেরি মোনাজাতের আগে সকাল ৬টা থেকে ঢাকার ৩০০ ফিটের মাথায়, ধউর ব্রিজের মাথায় এবং ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে ইজতেমাগামী সব যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।এর আগে টঙ্গীর তুরাগ তীরে গত শুক্রবার শুরু হয় তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজামের অনুসারীদের আয়োজনে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয় যৌতুকবিহীন ৬৩টি বিয়ে। মূলত, ইজতেমা শেষ হওয়ার পর ৩ থেকে ১০ দিনের চিল্লায় যান, তাবলিগের সাথীরা। সেসময়, কী কৌশলে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে সেই নসিহত করছেন মুরব্বিরা।সকালে বয়ান করেছেন ভারতীয় মাওলানা আবদুর রহমান। এরপর মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা তার বয়ানে ঈমান-আকিদা পালনের বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদের সেই বয়ান বাংলায় ভাষান্তর করে শোনানো হয় মুসল্লিদের। মুসলিম উম্যাহ’র প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সবার। নিজের আত্মশুদ্ধি’সহ ইসলামের সুমহান বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় সবার চোখেমুখে। উল্লেখ্য, এ বছর মোট তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। শুরায়ে নেজাম বা জুবায়েরপন্থিদের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর, আগামী ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সাদপন্থিদের ইজতেমা।