তানভীর আহমেদ, দৌলতখাঁন প্রতিনিধি : অসহায় এবং মধ্যবিত্ত মানুষদের ঘরে রাঁতের আধারে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলি আজম মুকুল এমপি।
ব্যাটারিচালিত রিক্সায় করে নিজে একাই পৌছে যাচ্ছেন দুস্থ অসহায় মানুষদের বাড়িতে। ঘরের দরজায় টোকা পড়তেই দরজা খুলে সাংসদকে দেখে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। সাবলিল ভাষায় বলছেন খাদ্য নিয়ে এসেছি আপনার জন্য। এ যেনো এক অনন্য নজির।কোন দেহরক্ষি নেই, নেই গাড়ির হুইসাল। নিজেই বেড়িয়ে পড়ছেন মানব সেবায়। জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্যই তার এই অনন্য সিদ্ধান্ত। করোনা ভাইরাস (কেভিড-১৯) সংকটময় মুহুর্তে দৌলতখান, বোরহানউদ্দিনের মানুষের পাশে বিশ্বাস নিয়ে দাড়িয়ে আছেন তাদের প্রিয় মানুষ মুকুল। সব ভালোবাসা দিয়ে সাহস যোগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিমুহুর্তই, হতাশা নয় সচেতনতা ও সরকারের নির্দেশনা মেনেচলতে পরামর্শ দিচ্ছেন। নিজেই শহর থেকে গ্রামে মাইক হাতে মানুষকে বাড়ি থেকে বেরহতে নিষেধ করছেন। এমন সাংসদ আগে কেউ দেখেছে বলে মনে পড়ে না কারো বলে মনে করছেন দৌলতখাঁনের সাধারন মানুষ।পবিত্র সবেবরাতের রাঁতে, মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌছানো মানুষটির জন্য দীর্ঘ হায়াত এর জন্যে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছেন অসহায় মানুষগুলো। পৌরসভা, ইউনিয়ন, সব রাস্তাই চেনা তার। যানচালককে রাস্তা চিনিয়ে মানুষের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন সাংসদ। ছিলনা কোন গনমাধ্যম, তোলা হচ্ছেনা কোন ছবি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এভাবেই প্রায় শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন। একান্ত আলাপচারিতায় এমপি মুকুল বলেন, প্রতিটি সমাজেই সাধারন মানুষের সাথে কিছু পরিবার থাকে যারা চক্ষু লজ্জার কারনে কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারেনা। তারা ভালো পরিবারের বা বংশের লোক, এমানুষ গুলো কষ্টে থাকলেও কাউকে বলেনা। আমি আমার নির্বাচনি এলাকায় দৌলতখান, বোরহানউদ্দিনে এমন ৪ হাজার পরিবারের তালিকা করেছি।কারো মাধ্যমে নয়, আমি নিজেই রাঁতের আধারে লোকচক্ষুর আড়ালে তাদের কাছে আমার সামান্য উপহার নিয়ে পৌছে যাবো। আমাকে এ মানুষ গুলো তাদের আপন জন হিসেবে জানে। আমি তাদের ভাই, বন্ধু, আত্বীয়, পরিবারের সদস্য হিসেবে তাদের পাশে আছি। যতদিন এ সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারবো আমরা তত দিন আমি তাদের সাথে আছি।
সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, সাধারন মানুষের যাতে খাদ্যে কষ্ট না হয়। সাথে আমার ব্যক্তিগত সহায়তা অব্যাহত রেখেছি। প্রতিদিন মানুষের ঘড়ে দুই উপজেলায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাদ্য নিয়ে ছুটছে আমার সেচ্ছেসেবক টিম গুলো। উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। চেষ্টা অব্যাহত আছে। মানুষের খাদ্যের কোন কষ্ট হবেনা ইন-শা-আল্লাহ। সবাইকে সাথে নিয়ে সবার সচেতনতায় এ সংকট আমরা কাটিয়ে উঠবো মহান রাব্বুল আল-আমিনের ইচ্ছায়। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করবেন। আমি সব সময় দৌলতখান বোরহানউদ্দিনের মানুষের সেবায় নিজেকে উজার করে দিয়েছি। এ সংকট কালিন সময় আমি তাদের পাশে আছি।