ইমরান হোসাইনঃ মৃত্যুর এপারে ওপারে বেঁচে থাকে সেই সব কীর্তিত্বজন যারা লাভ করেন অনন্তের অভিধা স্বাত্ত্বিকতার অভিধা এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু এর জীবন অনন্তের, স্বাত্ত্বিকের। ইনসানুল কামিল তথা মানুষের সেবা আর কল্যাণে তার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ একই সুচাগ্রে গাঁথা হয়ে আছে থাকবে তার সহজ সরল চলাফেরা আর অহংকার মুক্ত মনের মধ্য দিয়ে। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জিবিত সৈনিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন। তার জন্মস্থান বর্তমান রাজধানী দক্ষিণখান, ঢাকা সহ সারা দেশে পরিচিত সব জায়গায় প্রিয় মুখ এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু বহুমুখী ব্যাপক ও বিস্তৃত জ্ঞানের অধিকারী। তিনি সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণখান থানা আওয়ামীলীগ। এর পূর্বে তিনি ১৯৯০ সালে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ছাত্রলীগে প্রবেশ এর মধ্য দিয়ে ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৯০-৯৩ বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি থানা ওর্য়াকিং কমিটির সদস্যও হন। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি (২য়), এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহত্তর উত্তরা আওয়ামীলীগের প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে। পরবর্তীতে থানা ভাগ হওয়ার পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ এর ঘোষনা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল হতে অদ্যবধি দক্ষিণখান থানা আওয়ামীলীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ৪৮ বছর আগে একই পদে এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু এর পিতা মরহুম এ.কে.এম মনিরুজ্জামান বীর মুক্তিযুদ্ধা দক্ষিণখান থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আজকে তার ছেলে এই মহান দায়িত্ব পেয়ে সর্বপরি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এবং দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে জানায় আমরা আমি এবং আমাদের পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ করি, শেখ হাসিনার আদর্শ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন আমাদের হৃদয়ে লালন করি। উল্লেখ্য তার চাচা এ.কে.এম মমিনুজ্জামানও একজন বীর মুক্তিযুদ্ধা। তৃনমূল থেকে অদ্যবধি রাজনীতির প্রতিটি গন্ডি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে পালন করে এসেছেন। গভীর বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, তীক্ষè মেধা, ঐশী শক্তি সম্পন্ন, বিচক্ষন-বিশ্লেষক, মানব দরদী সমাজ কল্যানকামী এই মহান পুরুষ তার পরিচ্ছন্ন, উদার ধর্ম ও সমাজ চিন্তার আলোকে সমগ্র মানব সমাজের উন্নয়ন ও আধ্যাত্মিকজীবন গঠনের মহান দায়িত্ব নিয়ে পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসার উপর গভীর সাধনায় সাবলীল ভালোবাসা প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সোপানে এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু নিবেদিত প্রাণ। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে যখন যুবলীগের নামধারী কিছু অসাধু রাজনীতির অপছায়ার এবং হাইব্রিড কাউন্সিলর নিধন প্রক্রিয়া চলছে। যখন ক্যাসিনো নামক শয়তানের কালো ছায়া অনেক ক্ষমতাসীণ যুবলীগ-আওয়ামীলীগ-এমপি-মন্ত্রীদের দাওয়া করছে তখন এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু নির্বিঘেœ তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সততা ও সাহসীকতার সাথে। কিছু কুচক্রিমহল ঘনহারে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপর এসব কুর্কীতির বিষয় চাপিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রকৃত পক্ষে যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তারা এ ধরনের কুকর্মে জড়িত হতে পারে না। ভালোভাবে খোঁজ নিলে দেখা যাবে অন্যায়ের সাথে জড়িত এসব নেতাকর্মী শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আওয়ামীলীগের লেভাসকে পুজিঁ করে ফায়দা লুটতেই অভিনয় করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুনিয়ায় শান্তি আর পরকালে মুক্তির মধ্যেই একজন ব্যক্তির প্রকৃত বিজয় হয়। তার কথা, নিজের জন্মভূমিকে ভালবাসতে হবে, স্বাধীনতার প্রকৃত মূল্যবোধকে নিজের বুঝতে হবে অন্যকেও বুঝাতে হবে। একজন মানুষ এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু কতটা সৎ ও শুদ্ধ, সত্য ও সুন্দর, সত্তম ও সদ্ধুত তা নির্ভর করে তার চরিত্র কতটা নিস্কলঙ্ক, কতটা অমল-ধবল, অমিতাভ, কতটা ন্যায়-নীতি আদর্শ নিষ্ঠা তার উপর। অনেক অভিজ্ঞাতায় অর্জিত শিক্ষা পারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে, কথায় ও কাজের অন্বয়ে, সুচিন্তন ও সুচেতার সাজুস্যে, ¯েœহ ও প্রেমের সংশ্লেষ্ট-তবেই তার বিকাশ ও প্রকাশ, প্রতিভাস। এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু নির্মল চরিত্র, ফুলেল চরিত্র নির্ঝর চরিত্র, রুপে অপরুপ রুপস চরিত্র। এই জ্যেতিময় চরিত্র ধারন করে এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু বিষ্ময়কর মানবরুপী একটি ভবিষ্যৎ আদর্শিক দৃষ্টান্ত, নিজের জন্য নয় তার কাজ করার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, মূল সাংস্কৃতির মূল্যবোধকে জাগ্রত করবে শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-গরিমা, প্রেম-প্রীতি ও পূণ্যতায়। একান্ত সাক্ষাতকারে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের সাথে কথা হলে তার নিজের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অনেক না জানা কথা, উঠে আসে রাজনীতিতে এসে তার ত্যাগ, মহীমা আর বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনা-বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসার কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা এভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যতবার কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমি বিস্মিত হয়েছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশার অসাধারণ ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। রাজনীতিতে এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠুর অভিষেক ছাত্রলীগ দিয়ে। এই সময়ের রাজনীতি, রাজনৈতিক সমতা, বিএনপির অবস্থান, জঙ্গি তৎপরতা, সরকারের সাফল্য, নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, ব্যক্তি ও কর্মজীবনসহ নানা প্রসঙ্গে কথা হয় এই নেতার সঙ্গে।দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে গিয়ে এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু বলেন, দেশে এখন কোন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নেই। এমন শান্তিপূর্ণ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিদীপ্ত ও আপসহীন নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু জানান এই প্রক্রিয়াটি চলমান থাকা উচিত। দেশে এখন নিঃসন্দেহে অনেক বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে বিষয়টি দেশের ইতিবাচক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নির্দেশ করে। পেশাগত ও রাজনৈতিক জীবনের বাইরে এ.কে.এম মাসুদুজ্জামান মিঠু একজন সমাজসেবক, রাজনীতিবীদ, ঠিকাদার, দুই ছেলের জনক বড় ছেলে ছাত্রলীগের সদস্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার এবং আমার মতো রাজনৈতিক লোকদের প্রধান আস্থা। আপনারা খোঁজ খবর নেন, তথ্য নেন সত্য সংবাদ প্রকাশ করুন।
যারা আমার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মিথ্যা, কুৎসা রটাচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম আমার থানার পার্শ্ববর্তী এলাকার কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম শফিক। তিনি একসময় বিএনপি করতো এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রচার প্রচারনা চালাত। আজ হাইব্রিড হয়ে আওয়ামীলীগে প্রবেশ করে হয়ে গেছে আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর। বিষয়টি অত্যান্ত দূ:খজনক। তিনি নিজে অটোরিক্সায় তার সাক্ষর দিয়ে চাঁদাবাজি করে স্বর্ন ব্যবসায়ী হিসাবে গ্রেফতার হয়ে পদবী পায় গোল্ডেন শফি। মদ্যপ এবং জুয়া খেলার অপরাধে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। যারা ছাত্র রাজনীতি করেন নাই তাদের ভালো জায়গায় দিবো না আওয়ামীলীগের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার পায়তারা করছে এসব অনুপ্রবেশকারীরা। সামনে ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলন। এই সম্মেলনে আমার ভালো অবস্থান হতে পারে। যাদের কোন ইমেজ নেই, যারা মনে করে আওয়ামীলীগ করলে ভূমি/স্বর্ন/জায়গা সম্পত্তি, অবৈধ আয় আড়াল করতে রাজনীতি করে তাদের গায়ে আগুন লেগেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর লোক কোন ভাইয়ের লোক নয়। সব সময় শেখ হাসিনাকে নিয়ে রাজনীতি করেছি। আওয়ামীলীগকে নিয়ে রাজনীতি করেছি। ব্যক্তি স্বার্থ দেখি নাই। আমি অটো রিক্সার সব চাঁদাবাজী বন্ধ করে দিয়েছি বলেই অনেকের শক্রু হয়ে গেছি। আর এসব চাঁদাবাজরাই আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সময়ে সফলতা পাওয়া নেতা কর্মীদের ইমেজের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি এবং আমরা যারা ছাত্র রাজনীতি করে এসেছি তারা দেখেছি যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না তখন দেখেছি তার মায়ের মতো ভালোবাসা ও আদর, আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন লেখাপড়া কেমন চলছে। আমরা কেমন আছি।